বাক স্বাধীনতা
রাকিবুল ইসলাম জুয়েল 

 

একটি কবিতা লিখব,
যেখানে নগ্নতা নয়, স্বাধীনতার কথা বলব।
শোনাব লাখো শহিদের রক্তের কথা,
তোমাদের কাছে তা হতে পারে মিথ্যা।

১৯৭১ সাল, ২৬ মার্চের শুরুর লগ্নে,
শুরু হলো রক্তের স্রোত ধারা।
প্রতি পদে পদে স্তরে স্তরে,
যেন সাজিয়ে রাখা হয়েছে, রক্তাক্ত মরা।

ছবিঃ সংগৃহীত

নয় মাস যন্ত্রণা সহ্য করে,
যেমন মা সন্তানকে পৃথিবীর মুখ দেখায়।
তেমনি নয় মাস যুদ্ধের পরে,
স্বাধীনতা ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্ত মেখে, এলো বাংলায়।

পেলাম বাংলা বলার অবাধ স্বাধীনতা,
রুদ্ধদ্বার পেরিয়ে দেখতে পেলাম নতুন সবুজ মাঠ।
দিন বদলে পেয়েছি নব নব দেশের কর্ণধার,
হয়েছে উন্নতি, বদলেছে দেশ, সাকো হয়েছে কালভার্ট।

যার জন্য ভেসেছিল, রক্তের স্রোতধারা,
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরে, তা কেরে নেবার পায়তারা।
বলা যায় না অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন কথা,
মিথ্যার কাছে, ফাঁসি নিয়ে মরে শত মানুষের সত্যতা।

বাক স্বাধীনতা হারিয়ে যাচ্ছে কাল গর্ভের অতলে,
সত্যের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে, রক্তচোষা মাতালে।
স্বাধীন দেশে, স্বাধীন ভাবে, পালন করছি পরাধীনতা,
জিম্মি হয়ে, মা-বোন-মেয়ে নাম নিচ্ছে ধর্ষিতা।

এখনও এ স্বাধীন দেশে রক্ত ঝড়ে,
অন্যায়কারী বেঁচে যায়, প্রশাসকের পকেট ভরে।
ধরা পরলে হাতে নাতে,
ঘুষ হয়ে যায়, খুশির মিষ্টি খাবার উপহারে।

নেই বিচার, নেই সত্য কথার ভাত,
শ্মশান হবে এই দেশ, সূর্য দেখবে না একদিন প্রভাত।
শাসক যখন, হয়ে যায় শোষকশ্রেণীর লোক,
সে থাকে না মানুষ, সে তো রক্তচোষা মস্ত বড় জোঁক।